রাতে আনুমানিক নয়টা ৷ রাস্তায় জ্যাম৷ আমি লেগুনায়৷ চোখ গেল মোটরসাইকেলে৷ এক যুবক চালাচ্ছে৷ পেছনের মেয়েটা তার কাধে হাত রেখে সিটের দু'দিকে পা দিয়ে বসেছে৷ আমার চোখ গেল ডিরেক্ট তার চোখে৷ মেয়েটা বেশ স্লিম৷ পরনে জিন্স, কুর্তি৷ চুল খোলা৷
মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়েই অন্য দিকে তাকালো ৷
আমি চোখ ফিরিয়ে নিলাম৷
জ্যাম ছুটছে খুব ধীরে৷ ফের তাকালাম৷ চোখ দুটো টানা টানা ৷ একটু অবাক হলাম৷ সেও আমার দিকে তাকিয়ে ৷ পলক ফেলছেনা৷
কিছুটা আনইজি লাগলো নিজের মধ্যে৷ মেয়েটা বেশ সুন্দর ৷ তবে তার সৌন্দর্যের কথা ভেবে নয়, কেমন যেন তার চোখে অন্যরকম একটা অনুভূতি প্রকাশ পেল ৷
ওদিকে যুবকটা নিশ্চুপ বাইক চালাচ্ছে৷ আমার লেগুনা ধীরে আগাচ্ছে৷
বাইকটা সাইড কেটে পাশ দিয়ে পেছন পেছন যাচ্ছে৷
মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়েই অন্য দিকে তাকালো ৷
আমি চোখ ফিরিয়ে নিলাম৷
জ্যাম ছুটছে খুব ধীরে৷ ফের তাকালাম৷ চোখ দুটো টানা টানা ৷ একটু অবাক হলাম৷ সেও আমার দিকে তাকিয়ে ৷ পলক ফেলছেনা৷
কিছুটা আনইজি লাগলো নিজের মধ্যে৷ মেয়েটা বেশ সুন্দর ৷ তবে তার সৌন্দর্যের কথা ভেবে নয়, কেমন যেন তার চোখে অন্যরকম একটা অনুভূতি প্রকাশ পেল ৷
ওদিকে যুবকটা নিশ্চুপ বাইক চালাচ্ছে৷ আমার লেগুনা ধীরে আগাচ্ছে৷
বাইকটা সাইড কেটে পাশ দিয়ে পেছন পেছন যাচ্ছে৷
আবারও চোখ ফিরিয়ে নিতে চাইলাম কিন্তু পারলাম না ৷ নাহ প্রেমের দৃষ্টি নয়৷ কিন্তু কেমন যেন অজানা রহস্যময় পরিবেশ হয়ে উঠছে৷
মেয়েটা তাকিয়ে আছে আমার দিকে৷ তাকে বেশ ক্লান্ত দেখাচ্ছে৷
মেয়েটার দুই হাত যুবকটার দুই কাধে রাখা হলেও মাঝে কিছুটা দূরত্ব৷ মেয়েটা মাথা ঘুরিয়ে আমাকে দেখছে বারবার৷ মনে হলো সেও অবাক হচ্ছে৷
যেন আমিও এক ভিন্ন জগতে ঢুকলাম৷
বাইকটা লেগুনার পাশ কেটে একদম আমার সামনে এলো৷
রাস্তার দু পাশের দোকানগুলো থেকে আলো এসে মেয়েটার মুখে লাগলো৷
কোনো মেয়ে অপরিচিত কোনো ছেলের দিকে এভাবে একটানা তাকাতে পারে আমার জানা ছিল না৷
হঠাৎ খেয়াল করলাম মেয়েটার চোখ বেয়ে অশ্রু গড়াচ্ছে৷
নড়েচরে বসলাম৷ মেয়েটা কাঁদছে৷ তবে নিঃশব্দে৷ যেন বাইকের যুবকটা বুঝতে না পারে ৷ আমি কেমন যেন চমকে উঠলাম৷ মেয়েটা হাতের তালু দিয়ে চোখ মুছলো বার কয়েক৷
জ্যাম ছুটে গেল৷ মূহুর্তেই বাইকটা উধাও৷
আমার লেগুনাটাও বেশ জোরে চলতে লাগলো৷ আমি পুরো রাস্তায় ডানে বামে তাকালাম৷ কিন্তু তাকে আর দেখতে পেলাম না৷
মনটা কেমন যেন ভারি হয়ে এলো আমার ৷ লেগুনা থেকে নেমে গেলাম৷ দীর্ঘক্ষণ অজানা কারণে রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে রইলাম৷
বারবার মেয়েটার অশ্রু ভেজা চোখের চাহনি মনে পরলো৷
কেন কাঁদছিল মেয়েটা? কেনই বা আমাকে দেখছিল এভাবে এতবার?
জানিনা মেয়েটার মনে কিসের কষ্ট ৷ কি তার দুঃখ!
বাইকটা লেগুনার পাশ কেটে একদম আমার সামনে এলো৷
রাস্তার দু পাশের দোকানগুলো থেকে আলো এসে মেয়েটার মুখে লাগলো৷
কোনো মেয়ে অপরিচিত কোনো ছেলের দিকে এভাবে একটানা তাকাতে পারে আমার জানা ছিল না৷
হঠাৎ খেয়াল করলাম মেয়েটার চোখ বেয়ে অশ্রু গড়াচ্ছে৷
নড়েচরে বসলাম৷ মেয়েটা কাঁদছে৷ তবে নিঃশব্দে৷ যেন বাইকের যুবকটা বুঝতে না পারে ৷ আমি কেমন যেন চমকে উঠলাম৷ মেয়েটা হাতের তালু দিয়ে চোখ মুছলো বার কয়েক৷
জ্যাম ছুটে গেল৷ মূহুর্তেই বাইকটা উধাও৷
আমার লেগুনাটাও বেশ জোরে চলতে লাগলো৷ আমি পুরো রাস্তায় ডানে বামে তাকালাম৷ কিন্তু তাকে আর দেখতে পেলাম না৷
মনটা কেমন যেন ভারি হয়ে এলো আমার ৷ লেগুনা থেকে নেমে গেলাম৷ দীর্ঘক্ষণ অজানা কারণে রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে রইলাম৷
বারবার মেয়েটার অশ্রু ভেজা চোখের চাহনি মনে পরলো৷
কেন কাঁদছিল মেয়েটা? কেনই বা আমাকে দেখছিল এভাবে এতবার?
জানিনা মেয়েটার মনে কিসের কষ্ট ৷ কি তার দুঃখ!
মানবজীবনে বড় পরাজয় এটাই, কেউ কারো দুঃখ পুরোপুরি জানতে পারেনা, জানলেও দূর করে দেয়ার ক্ষমতা রাখেনা ৷
আমিও এক ক্ষমতাহীন মানব৷ মেয়েটার দুঃখ দূর করার সাধ্য, সুযোগ কোনোটাই আমার নেই৷
মেঘ ডাকছে৷ বৃষ্টি নামবে এক্ষুনি৷ আকাশটা ইদানিং বেশ কাঁদতে শিখেছে ৷
লিখেছেন :ইমরান আলি
0 Comments